বাংলাদেশের অন্যতম জনবহুল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ও জেলা সমূহের অন্যতম এই ঝিনাইদহ। ঝিনাইদহ এক সমৃদ্ধ জনপদ। মরমী কবি লালন শাহ্, পাগলা কানাই, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান, বীরপ্রতীক সিরাজুল ইসলাম, বিপ্লবী বীর বাঘাযতীন, গণিত শাস্ত্রবিদ কে.পি.বসু, কবি গোলাম মোস্তফা, বারো আউলিয়ার আর্শীবাদপুষ্ট বারোবাজার, গাজী-কালূ-চম্পাবতির উপাখ্যান, কুমার-কপোতাক্ষ, চিত্রা, বেগবতী, নবগঙ্গাঁ নদী আর খেজুর গুড়, কলা-পানের প্রাচুর্য মন্ডিত এই ঝিনাইদহের রয়েছে সুপ্রাচীন ঐতিহ্য।
ঝিনাইদহ জেলাটি গঙ্গাঁর দুই শাখা নদী পদ্মা ও ভাগীরথীর সংযোগে গঠিত গাঙ্গেঁয় বদ্বীপের অংশ বিশেষ বলে জানা যায়। টলেমির মানচিত্রে গাঙ্গেঁয় বদ্বীপের দক্ষিণাংশে নদী-নালা পরিবেষ্টিত যে ভূমির অস্তিত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। ঝিনাইদহের আদি বসতি সেখানেই গড়ে উঠেছিল। দ্বিতীয় খৃষ্টাব্দের গোড়ার দিকে এর অস্তিত্ব ছিল।
প্রাচীন যুগেও বিভিন্ন শাসনামলে ঝিনাইদহের স্থায়ী জনবসতি এবং সংগঠিত সমাজ ব্যবস্থার অস্তিত্বের ইংগিত পাওয়া যায়। ষষ্ঠ শতকের মধ্যভাগে ঝিনাইদহ অঞ্চলটি বঙ্গ তথা সমতট রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। এই জেলায় ১৩টি নদী, ২৯টি বাওড়, ৪২টি বিলসহ অসংখ্য নদ-নদী, হাওড়, বিল-বাওড় এর অস্তিত্ব ছিল এবং এর প্রধান যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল নদী পথ। এই নদী পথের পাশেই শহর-বন্দর ও ব্যবসা কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল যার অস্তিত্ব এখনও বহন করছে। গড়াই, কালী, ডাকুয়া ও কুমার নদের পাড়ে শৈলকুপা, কপোতাক্ষ নদের পাড়ে কোটচাঁদপুর, চিত্রা নদীর পাড়ে কালিগঞ্জ, কোদলা, ইছামতি, বেতনা নদীর মাঝে মহেশপুর ও নবগঙ্গা পাশ্ববর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে জন্ম নিয়ে নবগঙ্গা নদী হরিণাকুন্ডু ও ঝিনাইদহের বুক চিরে প্রবাহিত হয়ে চলে গেছে মাগুরার দিকে। এই নবগঙ্গাঁ নদীর তীরে গড়ে উঠেছে ঝিনাইদহ জেলা শহর। পূর্বের মহকুমা প্রশাসক ও বর্তমান জেলা প্রশাসকের বাংলোটি আসলে জেলখানার জেলারের কোয়ার্টার ছিল। মহকুমা প্রশাসকের বাংলো নবগঙ্গা নদী গর্ভে বিলীন হলে জেলারের এই কোয়ার্টারকে মহকুমা প্রশাসকের বাংলো করা হয়।
প্রাচীন যুগেও বিভিন্ন শাসনামলে ঝিনাইদহের স্থায়ী জনবসতি এবং সংগঠিত সমাজ ব্যবস্থার অস্তিত্বের ইংগিত পাওয়া যায়। ষষ্ঠ শতকের মধ্যভাগে ঝিনাইদহ অঞ্চলটি বঙ্গ তথা সমতট রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। এই জেলায় ১৩টি নদী, ২৯টি বাওড়, ৪২টি বিলসহ অসংখ্য নদ-নদী, হাওড়, বিল-বাওড় এর অস্তিত্ব ছিল এবং এর প্রধান যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল নদী পথ। এই নদী পথের পাশেই শহর-বন্দর ও ব্যবসা কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল যার অস্তিত্ব এখনও বহন করছে। গড়াই, কালী, ডাকুয়া ও কুমার নদের পাড়ে শৈলকুপা, কপোতাক্ষ নদের পাড়ে কোটচাঁদপুর, চিত্রা নদীর পাড়ে কালিগঞ্জ, কোদলা, ইছামতি, বেতনা নদীর মাঝে মহেশপুর ও নবগঙ্গা পাশ্ববর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে জন্ম নিয়ে নবগঙ্গা নদী হরিণাকুন্ডু ও ঝিনাইদহের বুক চিরে প্রবাহিত হয়ে চলে গেছে মাগুরার দিকে। এই নবগঙ্গাঁ নদীর তীরে গড়ে উঠেছে ঝিনাইদহ জেলা শহর। পূর্বের মহকুমা প্রশাসক ও বর্তমান জেলা প্রশাসকের বাংলোটি আসলে জেলখানার জেলারের কোয়ার্টার ছিল। মহকুমা প্রশাসকের বাংলো নবগঙ্গা নদী গর্ভে বিলীন হলে জেলারের এই কোয়ার্টারকে মহকুমা প্রশাসকের বাংলো করা হয়।
১৭৫৭ সালের পর ১৭৮১ সালে ঝিনাইদহ সরাসরি ইংরেজ শাসনের অধীনে চলে যায়। এই বছরই যশোরের মুরলীতে ইংরেজ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী তাদের অফিস বা কোর্ট স্থাপন করে।
যশোর, খুলনা, ফরিদপুর জেলাকে এর অধীনে আনা হয়। ওই কোর্টের প্রথম জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিযুক্ত হন টিলম্যান হেংকল। ওই সময় ইংরেজরা জবরদস্তিমূলকভাবে ঝিনাইদহে নীলচাষে কৃষকদের বাধ্য করে। কৃষকদের চরম দুর্গতি এবং তাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু হলে নীল বিদ্রোহ শুরু হয়। পরিশেষে নীল চাষ বন্ধ হয়।
ওইসব ঘটনার ফলে ইংরেজ আমলে ১৭৯৩ সালে প্রথমে ঝিনাইদহে পুলিশ ফাঁড়ি। পরবর্তীতে থানা এবং ১৮৬০-৬১ সালের দিকে ঝিনাইদহ প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে মহকুমা প্রতিষ্ঠা করা হয়।
Time Publication এর Bangladesh Dictionary 1978-তে -এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে- "Jessore has undergone a long series of changes with regard to its area. In 1860-61 separate sub-division were created with headquarters atKhulna , Jhenaidah, Magura, Narail and Jessore"
অন্য একটি সরকারী তথ্যে বলা হয় ‘‘The Sub-division was later abolished in the rearrangement made in 1863.
অপর আর একটি সূত্র মতে, ১৮৬২ সালে ঝিনাইদহ মহকুমা পর্যায়ে উন্নীত হয়। ঝিনাইদহ মহকুমা হলে ১৮৬৩ সাল তৎকালীন সময়ের বাণিজ্য নগরী বলে খ্যাত কোটচাঁদপুর মহকুমা বিলুপ্ত হয়ে যায়। বর্তমানে কোটচাঁদপুর ঝিনাইদহের একটি থানা ও উপজেলা শহর।
১৮৬৩ থেকে ১৯৪৭ সালের পাকিস্থান আমল এবং স্বাধীন বাংলাদেশের এক দশক পর্যন্ত প্রশাসনিক কাঠামো হিসেবে ঝিনাইদহে মহকুমা বিদ্যমান ছিল। প্রথম মহকুমা প্রশাসক ছিলেন জনাব বি. এলেন ও শেষ মহকুমা প্রশাসক ছিলেন জনাব মোহাম্মদ শফিউল করিম। এর পর ১৯৮৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ জেলায় উন্নীত হয়। প্রথম জেলা প্রশাসক ছিলেন জনাব জেড, এম, রফিক ভুঁঞা।
যশোর, খুলনা, ফরিদপুর জেলাকে এর অধীনে আনা হয়। ওই কোর্টের প্রথম জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিযুক্ত হন টিলম্যান হেংকল। ওই সময় ইংরেজরা জবরদস্তিমূলকভাবে ঝিনাইদহে নীলচাষে কৃষকদের বাধ্য করে। কৃষকদের চরম দুর্গতি এবং তাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু হলে নীল বিদ্রোহ শুরু হয়। পরিশেষে নীল চাষ বন্ধ হয়।
ওইসব ঘটনার ফলে ইংরেজ আমলে ১৭৯৩ সালে প্রথমে ঝিনাইদহে পুলিশ ফাঁড়ি। পরবর্তীতে থানা এবং ১৮৬০-৬১ সালের দিকে ঝিনাইদহ প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে মহকুমা প্রতিষ্ঠা করা হয়।
Time Publication এর Bangladesh Dictionary 1978-তে -এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে- "Jessore has undergone a long series of changes with regard to its area. In 1860-61 separate sub-division were created with headquarters at
অন্য একটি সরকারী তথ্যে বলা হয় ‘‘The Sub-division was later abolished in the rearrangement made in 1863.
অপর আর একটি সূত্র মতে, ১৮৬২ সালে ঝিনাইদহ মহকুমা পর্যায়ে উন্নীত হয়। ঝিনাইদহ মহকুমা হলে ১৮৬৩ সাল তৎকালীন সময়ের বাণিজ্য নগরী বলে খ্যাত কোটচাঁদপুর মহকুমা বিলুপ্ত হয়ে যায়। বর্তমানে কোটচাঁদপুর ঝিনাইদহের একটি থানা ও উপজেলা শহর।
১৮৬৩ থেকে ১৯৪৭ সালের পাকিস্থান আমল এবং স্বাধীন বাংলাদেশের এক দশক পর্যন্ত প্রশাসনিক কাঠামো হিসেবে ঝিনাইদহে মহকুমা বিদ্যমান ছিল। প্রথম মহকুমা প্রশাসক ছিলেন জনাব বি. এলেন ও শেষ মহকুমা প্রশাসক ছিলেন জনাব মোহাম্মদ শফিউল করিম। এর পর ১৯৮৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ জেলায় উন্নীত হয়। প্রথম জেলা প্রশাসক ছিলেন জনাব জেড, এম, রফিক ভুঁঞা।