*** • দেশের পথে খালেদা • গাদ্দাফি ও তার ছেলেদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের পরোয়ানা • আবারো ইউরোপ সেরা বার্সেলোনা • মরনোত্তর চক্ষু দানের ঘোষণা দিলেন মনমোহন সিং দম্পতি • ফিলিস্তিন জাতিসংঘে স্থায়ী সদস্যপদ চাইলে ভেটো দেবে যুক্তরাষ্ট্র • আসছে দেশে তৈরী ১০ হাজার টাকার ল্যাপটপ (দোয়েল) • অর্থের কাছে ক্রিকেটকে বলি দেবেন না: কপিল • কী ধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান জানান: সুরঞ্জিত • ঝিনাইদহে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যায় তদন্ত কমিটি • কম্পিউটার বাজার দরঃ- কম্পিউটার বাজারে দাম কমেছে বেশকিছু পণ্যের। মনিটর ও পেনড্রাইভের বিক্রি বেড়েছে বলে বিক্রেতারা জানান। গতকাল শনিবার পাওয়া যন্ত্রাংশের দাম নিচে দেওয়া হলো— প্রসেসর: ইন্টেল কোর আই৫ (৩.২০ গি.হা) ১৫,৩০০, ইন্টেল সেলেরন ১.৮ গি.হা ৩,০০০; ইন্টেল কোর আই-৩ ৩.০৬ গি.হা. ৯,৮০০ টাকা। পেন্টিয়াম ডুয়েল কোর২.৮ গি.হা. ৫,৩০০; কোর টু কোয়াড-৩.৩৩গি.হা. ১২,৫০০ টাকা। মাদারবোর্ড: গিগাবাইট জি এ৪১ এমটি-ডি-৩ ৪,১০০; জি৪১এমটি-ইএস২ এল ৪,৩০০; জি ৪১এম কমবো ৪,২০০; এইচ৫৫এম-ডিটুএইচ ৬,৫০০ টাকা। ইন্টেল ডিএইচ৫৫পিজে ৬,৮০০, ডিজি৩৩টিএলএম ৭,১০০ টাকা। আসুস পি৫জি-৪১টি-এম৪১০০ ৪,৩০০; জি৪১ ৪,৬০০ টাকা। ফক্সকন জি৩১ এমভি ৩,০০০; এইচ৪১ এমএক্সইভি ৩,৩০০; এইচ৫৫ এক্সভি ৫,২০০ টাকা। র্যাম: ২ গি.বা. ডিডিআর-২ ১,৯০০, ২ গি.বা. ডিডিআর-৩ ১,২০০ টাকা। হার্ডডিস্ক ড্রাইভ: ৩২০ গি.বা. ৩,০০০; ৫০০ গি.বা. ৩,৪০০ টাকা। হিটাচি ১ টেরাবাইট ৪,৬০০; ২৫০ গি.বা. ২,৫০০; ৫০০ গি.বা. ৩,৫০০;। পেনড্রাইভ: অ্যাপাসার ৪ গি.বা. ৬৫০, ৮ গি.বা. ১০০০ থেকে ১,৬০০। এলসিডি মনিটর: স্যামসাং ১র্৭র্ ৮,২০০; ১৮.র্৫র্ ৮,১০০; ২র্০র্ ১০,৫০০; ২১.র্৫র্ ১৩,৮০০; ২৩.র্৫র্ ২৫,৫০০ টাকা। ফিলিপস ১৮.র্৫র্ ৮,০০০টাকা।ডেল ১৮.র্৫র্ ৭,৯০০ টাকা।এলজি ১৮.৫র্ র্ ৭,৯০০; ১৭র্ র্ ৭,৪০০; ২১.৫র্ র্ ১৩,৫০০ টাকা। হাইউন্দাই এলসিডি; ১র্৯র্ ৮,৮০০; ২র্৭র্ ২৯,৩০০ টাকা। গ্রাফিকস কার্ড: গিগাবাইট এইচ ডি-৫৫৭০ ১গি.বা. ৫,৫০০, এক্সএফএক্স এইচ ডি-৫৬৭০ ১গি.বা.৬,২০০ টাকা। আসুস: ২৫৬ মেগাবাইট ৪,০০০, এক্সএফএক্স এইচডি৪৫৫০ ১ গি.বা. ৪,৭০০, এইচডি৫৮৫০ ৭২৫ গি.বা. ১০,১০০ টাকা। ডিভিডি রাইটার/রি-রাইটার: স্যামসাং ৫২x২৪x৫২এক্স ১,৫০০ টাকা।আাাসুস ৫২x৩২x৫২এক্স ১,৮০০ টাকা।সনি ডিভিডি-আরডব্লিউ ১,৭০০ টাকা। কেসিং: ১,৪০০ থেকে ৩,৬০০ টাকা। মাউস: ২৫০ থেকে ৩০০০ টাকা। কি-বোর্ড: সাধারণ ৩৫০ থেকে ১,৫০০ টাকা। মাল্টিমিডিয়া ৫৫০ টাকা। স্পিকার: মাইক্রোল্যাব (২:১) ১,৩০০ থেকে ৩,৬০০ টাকা।ক্রিয়েটিভ এসবিএস ৮০০ টাকা। গোল্ডেন ব্রিজ এফটি৮০৫ (২:১) ১,৩০০ টাকা। মডেম: মোবিডেটা ইডিজিই ২,৪০০; এইচএসডিপিএ ৩,০০০ টাকা। জিপিআরএস: টেকনো টিএম০০৮ ২,১০০ টাকা। মোবিডাটা ২,১০০ টাকা (ইউএসবি)। টিভি কার্ড: এভারমিডিয়া ইন্টারনাল ২,৬০০; এক্সটারনাল ডাব্লিউ৭ ৪,৪০০ টাকা।রিয়েলভিউ আরভি ১,৭০০ টাকা।প্রিন্টার: ক্যানন পিক্সমা আইপি-২৭৭২ ২,৮৫০ টাকা। এইচপি১৬৬৬ ডেস্কজেট ৫,৫০০ টাকা। এপসন টি৬০ ১২,০০০ টাকা। এইচপি লেজার পি-১১০২ ৮,৪০০ টাকা। ব্রাদার এইচএল ৫৩৪০ডি ১৮,৭০০ টাকা। স্যামসাং এমএল ১৬৬৩ (লেজার) ৫,৬০০। ডেল ৮,৯০০ থেকে ২১,০০০ টাকা। পোর্টেবল হার্ডডিস্ক: ট্রানসেন্ড ৫০০ গি.বা ৫,০০০; ৩২০ গি.বা ৪,১০০; ৬৪০ গি.বা ৬,৩০০, ২ টেরাবাইট ১২,২০০ টাকা। এডেটা ৫০০ গি.বা. ৪,৫০০। ইউপিএস: কেষ্টার ৬৫০ ভিএ ২,৬০০; ১২০০ ভিএ ৪,৪০০ টাকা , ৩কেভিএ ৩৬,০০০ টাকা, ১০ কেভিএ ১,০৫,০০০টাকা। —সংগ্রহ:;;;;; *****

দর্শনীয় স্থান সমুহ

শৈলকুপার শাহী মসজিদ মাজার t
কুমার নদের তীরে অবস্থিত শৈলকুপা শাহী মসজিদ দক্ষিণবঙ্গে সুলতানী আমলের স্থাপত্যকীর্তির একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। মসজিদটি দরগাপাড়ায় অবস্থিত। উত্তর-দক্ষিণে লম্বা মসজিদের দৈর্ঘ প্রস্থ (ভিতরের দিকে) ৩১./২১ ফুট। দেয়ালগুলো প্রায় . ফুট প্রশস্ত। চার কোণে আছে চারটি মিনার। এগুলো গোলাকার এবং বলয়াকারে স্ফীতরেখা (ব্যান্ড) দ্বারা অলংকৃত। মিনারগুলো মসজিদের অনেক উপরে উঠে গেছে। মসজিদের পূর্ব দেয়ালে তিনটি এবং উত্তর দক্ষিণ দেয়ালে দু'টি করে প্রবেশ পথ আছে। পূর্ব দেয়ালের কেন্দ্রীয় প্রবেশ পথের উভয় পাশে একটি করে সরু মিনার আছে এবং এগুলো কোণের মিনারের চেয়ে কিছু নিচু। মসজিদের কার্নিশ ঈষৎ বাঁধানো; ভিতরে পশ্চিম দেয়ালে তিনটি মেহরাব। কেন্দ্রীয় মেহরাবটি আকারে বড়। মসজিদের ভিতরে পাঁচ ফুট উঁচু দুটি স্তম্ভ আছে। এগুলোর উপরে আছে ইটের তৈরি খিলান। দুটো স্তম্ভ চার পাশের দেয়ালের উপর নির্মিত হয়েছে ছয়টি গম্বুজ। এগুলো আকারে বেশ ছোট। মসজিদটি প্রধানতঃ ইটের তৈরি। মসজিদে এত সংস্কার সংযোজন হয়েছে যে, এর আদি কাঠামো কি ছিল তা সঠিকভাবে নিরুপণ করা সহজ নয়। কেন্দ্রীয় প্রবেশ পথ কোণের মিনারগুলো সম্ভবতঃ পরবর্তীকালের সংযোজন। তবে এটি যে সুলতানী আমলের মসজিদ তা সহজেই বোঝা যায়। মসজিদের পূর্ব দিকে অনুচ্চ প্রাচীর বেষ্টিত (৪৫/৩০ ফুট ) একঢি মাজার আছে। স্থানীয় লোকদের মতে এটি শাহ্ মোহাম্মদ আরিফ--রব্বানী ওরফে আরব শাহ্র মাজার। মাজারের কাছে আরও ছয়জন আউলিয়ার মাজার আছে। মসজিদ বা মাজারে কোন শিলালিপি নেই।

যেভাবে যেতে হবেঃ ঝিনাইদহ হতে স্থানটির দুরত্ব ৩০ কিঃ মিঃ। ঝিনাইদহ হতে বাসযোগে সড়ক পথে গাড়াগঞ্জ এরপর গাড়াগঞ্জ হতে বাসযোগে শৈলকৃপা যেতে হবে। শৈলকুপা বাজারেই শাহী মসজিদ অবস্থিত।
তথ-সূত্র: সরকারী ওয়েব।



ঢোলসমুদ্র দীঘি

ঝিনাইদহে রাজা মুকুট রায় নামে এক প্রতাপশালী জমিদার ছিলেন। রাজা মুকুট রায়ের অনেক সৈন্য সামন্ত ছিল। কথিত আছে তিনি ১৬ হল্কা হাতি, ২০ হল্কা অশ্ব ,২০০ কোড়দার না নিয়ে বের হতেন না। খাঁন জাহান আলী (রাঃ) এর মত তিনিও জলাশয় প্রতিষ্ঠায় যত্নবান ছিলেন। রাস্তা নির্মাণ জলাশয় খনন করতে করতে তিনি অগ্রসর হতেন। ঝিনাইদহে তাঁর এমনি একটি অমর কীর্তি ঐতিহ্যবাহী পাগলা কানাই ইউনিয়নের ঢোল সমুদ্র দীঘি। প্রায় ৫২ বিঘা জমির উপর অবস্থিত দীঘি ঝিনাইদহের সর্ববৃহৎ দীঘি। দীঘিটি শতাব্দী পরিক্রমায় পানীয় জলের অফুরন্ত আধার হিসেবে কাজ করেছে এবং একজন পরাক্রমশালী রাজার রাজকীয় স্থাপনা সমূহের একটি স্মৃতি হিসেবে আজও টিকে আছে।

ঝিনাইদহ শহরের পূর্বে বিজয়পুর ছিল রাজা মুকুট রায়ের রাজধানী। বাড়ীবাথানে রাজার প্রকান্ড গোশালা ছিল। বহু সংখ্যক গাভী ছিল বলে লোকে তাকে বৃন্দাবনের নন্দ মহারাজ বলত। বেড়বাড়ীতে রাজার উদ্যান ছিল। রাজার কোড়াদার সৈন্যরা যেখানে বসবাস করত সে স্থানের নাম কোড়াপাড়া হয়েছে। সমস্ত স্থান এখনও বর্তমান। রাজা মুকুট রায়ের রাজবাটির কিছুই অবশিষ্ট নেই। তবে ঢোল সমুদ্র দীঘির দক্ষিণে ক্ষয়ে যাওয়া ইটের স্তুপে কোন ঐতিহাসিক নিদর্শন লুক্কায়িত থাকতে পারে বলে পুরাতাত্ত্বিকেরা মনে করেন। ঢোল সমুদ্র দীঘিটি ঝিনাইদহের একটি আকর্ষণীয় বিনোদন স্থান। 

ঢোল সমুদ্র দীঘি খননের পেছনে একটি লোকশ্রততি আছে-রাজা মুকুট রায়ের রাজত্বকালে একবার জলকষ্ট দেখা দেয়। বিল, বাওড়, নদী দীঘি- কোথাও জল ছিল না। অনন্যোপায় হয়ে রাজা দীঘি খননের সিদ্ধান্ত নেন। অগণিত লোকের দিন রাত পরিশ্রমে দীঘি গভীর হতে গভীরতর এবং চতুর্দিকে প্রশস্ত হতে লাগল। কিস্তু পুকুরে জল উঠল না। হতাশ রাজা একদিন স্বপ্ন দেখলেন যে, রাণী যদি পুকুরে নেমে পূজা দেন, তবে পুকুরে জল উঠবে। কথা জেনে প্রজাহিতৈষী রাণী পূজার নৈবেদ্য নিয়ে পুকুরে নামলেন। রাণী পুকুরের তলদেশে উপস্থি হয়ে ইষ্টদেবতাকে নিবেদন করলেন পূজার অর্ঘ্য। জল ওঠা শুরু হলো। প্রার্থনা পূর্ণ হওয়ায় রাণী উপরে উঠতে শুরু করলেন। সহসা প্রবলবেগে জলরাশি উথ্থিত হল। জল দেখে উদ্বেলিত পাড়ের সহস্র প্রজার উৎসব-আনন্দ আর বাদ্য-বাজনার মধ্যে অলক্ষ্যে রাণী অথৈ জলরাশির গভীরে তলিয়ে গেলেন। গভীর শোকে শোকাভিভূত প্রজাগণ রাজাকে রাজপুরীতে যেয়ে এই দুঃসংবাদ জানালেন। সেই স্মৃতি স্মরণে আজও লোকজন দীঘিকে ঢোল সমুদ্র দীঘি বলে জানে।

রাজা মুকুট রায় বাড়ীবাথানের যুদ্ধে নবাবের পাঠান সৈন্যের মিলিত শক্তির কাছে পরাজিত হন। নবাব সৈন্যরা রাজা মুকুট রায়কে বন্দী করে রাজধানীতে নিয়ে যায়। রাজার পরিচয় জেনে নবাব তাঁকে মুক্তি দেন। কিন্তু রাজার পরিবারের সদস্যগণ রাজার অনিবার্য পরিণতি, মৃত্যু ভেবে সবাই আত্মহত্যা করেন। তাঁর কন্যার আত্মহত্যার স্থানকে কন্যাদহ দুরাণীর আত্মহত্যার স্থানকে দু-সতীনের, রাজ জ্যোতিষীর আত্মহত্যার স্থানকে দৈবজ্ঞদহ নামে অভিহিত করা হয়েছে, যা আজও নামেই পরিচিত।

যেভাবে যেতে হবেঃ ঝিনাইদহ হতে স্থানটির দুরত্ব কিঃ মিঃ। ঝিনাইদহ শহরের যে কোন স্থান হতে অটো রিকসা / ভ্যান / রিকসাযোগে পাগলাকানাই মোড় হয়ে ঢোল সমুদ্র দীঘিতে যেতে হবে।
মল্লিকপুরের এশিয়ার বৃহত্তম বট গাছ
এশিয়ার বৃহত্তম এবং প্রাচীন বটগাছটি কালীগঞ্জ শহর হতে ১০ কিঃমিঃ পূর্বে মালিয়াট ইউনিয়নের বেথুলী মৌজায় অবসিহত। বটগাছটি বর্তমানে ১১ একর জমি জুড়ে বিদ্যমান। সুইতলা-মল্লিকপুরের বটগাছ নামে এটি বিশেষভাবে পরিচিত।

গাছটি দু-শো বছরের পুরনো। রাস্তার ধারে ডাল-পাতায় পরিপূর্ণ গাছটি জনবিরল স্থানে পথিকের বিশ্রামের আশ্রয়স্থল। বটগাছটি একের পর এক ঝুরি নামিয়ে বিরাট আকার ধারণ করেছে। স্থানটির মালিক ছিলেন রায় গ্রামের জোতদার নগেন সেনের স্ত্রী শৈলবালা সেন। পরবর্তীতে এটা খাস হয়ে যায়। পূর্বে তিথি অনুযায়ী এখানে পাঠা বলি হতো। গাছের নিচে একটি স্থায়ী কালীপূজার আসন স্থাপিত হয়েছে। এখনও মানুষ এখানে মানত করে। বিশ্বব্যাপী গাছটির পরিচিতি ঘটে ১৯৮২ সালে বি,বি,সি- সংবাদ ভাষ্যের মাধ্যমে গাছটি এলাকার আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দিয়েছে। বহু দেশী-বিদেশী পর্যটক এখানে আসে। তবে বটগাছটির প্রতি নেই কোন সচেতন পরিচর্যা। অযত্ন, অবহেলা অত্যাচারে বিলীন হতে চলেছে গাছটি। প্রতিনিয়ত কাটা হচ্ছে এর ডালপালা। 

বট গাছটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করেও পর্যটকদের সুবিধার্থে এখানে ১৯৯০ সালে সরকারি অনুদানে নির্মিত হয়েছে একটি রেষ্ট হাউজ। এই ঐতিহ্যকে গুরুত্বসহকারে কাজে লাগালে অঞ্চল হতে পারে পর্যটন কেন্দ্র। এই বিস্তৃত বটগাছের দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাখীর কল-কাকলি মুখরিত শীতল পরিবেশ বিমুগ্ধ চিত্তকে বিস্ময় আনন্দে অভিভূত করে।

যেভাবে যেতে হবেঃ ঝিনাইদহ হতে স্থানটির দুরত্ব ২৮-৩০ কিঃ মিঃ। ঝিনাইদহ হতে বাসযোগে সড়ক পথে কালীগঞ্জ যেতে হবে। এরপর কালীগঞ্জ হতে ( পূর্ব দিকে) টেম্পুযোগে / ভ্যানযোগে মল্লিকপুরে যেতে হবে। কালীগঞ্জ হতে মল্লিকপুরের দুরত্ব ১০ কিঃমিঃ।

গলাকাটা মসজিদ
সাদিকপুর মসজিদ থেকে ১৫০ গজ পূর্বে গলাকাটা মসজিদটি বারোবাজার - তাহেরপুর রাস্তার পার্শ্বে অবস্থিত। চারটি কোণাকৃতি বড় মোটা পিলারের উপর বর্গাকৃতি মূল মসজিদটি দন্ডায়মান এবং প্রত্যেক বাহু ২৫ ফুট লম্বা দেয়াল ফুট চওড়া। এতে ৩টি প্রবেশ দ্বার আছে। মসজিদটির পূর্ব পাশে পাকা প্রাঙ্গন ছিল। ভিতরে পশ্চিমের দেয়ালে ৩টি মেহরাব আছে এতে পোড়ামাটির কারুকাজ, ফুল, লতাপাতা, ঘন্টা, চেইন ইত্যাদির নকশা আছে। কালো পাথরের ফুট উচ্চতার দু'টি স্তম্ভ ছাদের পিলার হিসেবে আছে। স্তম্ভের সামনে পিছনে ৬টি মাঝারি আকৃতির গম্বুজ আছে। শাহ সুলতান মাহমুদ ইবনে হুসাইনের আমলের ৮০০ হিজরীর আরবি-ফার্সিতে লেখা কয়েকটা পাথর খননের সময় এগুলো এখানে পাওয়া গেছে। মসজিদের সাথে সাদৃশ্য আছে গৌরের ধবীচক ঝনঝনিয়া মসজিদ, ঢাকা রামপালে বাবা আদমের মসজিদ, শৈলকুপার শাহী মসজিদ বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদের। ইসলামী স্থাপত্যের এক অপূর্ব নিদর্শন হিসেবে গলাকাটা মসজিদ বাংলাদেশের পুরাকীর্তিকে সমৃদ্ধ করেছে।গলাকাটা মসজিদের পাশে গলাকাটা দীঘি অবস্থিত। খান জাহান আলী (রাঃ) এর সমসাময়িক দীঘি বলে প্রবল জনশ্রুতি আছে। দীঘিটি চর্তুদিকের পাড়সহ বারো বিঘা জমির উপর অবস্থিত। দীঘির দক্ষিণ পাড়েই গলাকাটা মসজিদ। দীঘির পশ্চিম পাড়ে একটি ছোট অনুচ্চ ঢিবি আছে।

যেভাবে যেতে হবেঃ ঝিনাইদহ হতে স্থানটির দুরত্ব ২৮-৩০ কিঃ মিঃ। ঝিনাইদহ হতে বাসযোগে সড়ক পথে বারবাজার যেতে হবে। এরপর বারবাজার হতে ( পশ্চিম দিকে) ভ্যানযোগেগলাকাটা মসজিদে যেতে হবে। বারবাজার হতে গলাকাটা মসজিদের দুরত্ব কিঃ মিঃ

জোড় বাংলা মসজিদ
বারোবাজার মৌজায় মসজিদটি অবস্থিত। ১৯৯২-৯৩ সালে প্রত্নতত্ব বিভাগ কর্তৃক খননের ফলে আবিস্কৃত হয়েছে এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি। এর পাশে কয়েকটি কবর আছে। ছোট ছোট সুন্দর পাতলা ইটে গাঁথা মসজিদটি ১০/১১ ফুট উচুঁ প্লাটফর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত।

মসজিদে প্রবেশের পথটি উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত। প্রবেশ পথ থেকে দীঘি পর্যন্ত ইটের তৈরী বিশাল সিঁড়ি নেমে গেছে। বর্গাকৃতি এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি পুনঃ নির্মিত হয়েছে। এখানে নিয়মিত নামাজ আদায় হয়। পশ্চিম দেয়ালে অর্ধবৃত্তাকারে পোড়ামাটির নক্সা অলংকরণে ৩টি মেহেরাব আছে। চুন বালির প্লাস্টারের কাজও লক্ষ্য করা যায় মেহেরাবের দুই পাশেই ছোট পিলার আছে। কেন্দ্রীয় মেহরাবটি ফুল লতাপাতা অংকিত ইটের তৈরী। স্থাপত্য শিল্পের সৌন্দর্য কারুকার্যময় দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি মুসলিম সভ্যতা উৎকর্ষের নিদর্শন।

সম্ভবত ৮০০ হিজরীতে শাহ সুলতান মাহমুদ ইবনে নুসাই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। সাদিকপুর মসজিদ, খান জাহান আলী (রাঃ) মাজার সংলগ্ন মসজিদ, ডুমুরিয়ার সারসনগর মসজিদ, অভয়নগরের শুভারাদা মসজিদ এবং বাগেরহাট বিবি কেরানী মসজিদর নির্মাণ শৈলীর সাথে মসজিদের সাদৃশ্য আছে।জোড়বাংলা মসজিদের উত্তরের পুকুরটি অন্ধপুকুর নামে পরিচিত। সুলতান মাহমুদ শাহের শাসনামলে মুসল্লীদের ওজু পানীয় জলের প্রয়োজনে সম্ভবত পুকুর খনন করা হয়েছিল। মসজিদের উত্তর-পূর্বের প্রবেশ দ্বার থেকে অন্ধপুকুরের তলদেশ পর্যন্ত ইট বাঁধান সিঁড়ির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

যেভাবে যেতে হবেঃ ঝিনাইদহ হতে স্থানটির দুরত্ব ২৮-৩০ কিঃ মিঃ। ঝিনাইদহ হতে বাসযোগে সড়ক পথে বারবাজার যেতে হবে। এরপর বারবাজার হতে ( পশ্চিম দিকে) ভ্যানযোগে জোড়বাংলা মসজিদে যেতে হবে।বারবাজার হতে জোড়বাংলা মসজিদের দুরত্ব ১কিঃমিঃ।
গলাকাটা মসজিদ
সাদিকপুর মসজিদ থেকে ১৫০ গজ পূর্বে গলাকাটা মসজিদটি বারোবাজার - তাহেরপুর রাস্তার পার্শ্বে অবস্থিত। চারটি কোণাকৃতি বড় মোটা পিলারের উপর বর্গাকৃতি মূল মসজিদটি দন্ডায়মান এবং প্রত্যেক বাহু ২৫ ফুট লম্বা দেয়াল ফুট চওড়া। এতে ৩টি প্রবেশ দ্বার আছে। মসজিদটির পূর্ব পাশে পাকা প্রাঙ্গন ছিল। ভিতরে পশ্চিমের দেয়ালে ৩টি মেহরাব আছে এতে পোড়ামাটির কারুকাজ, ফুল, লতাপাতা, ঘন্টা, চেইন ইত্যাদির নকশা আছে। কালো পাথরের ফুট উচ্চতার দু'টি স্তম্ভ ছাদের পিলার হিসেবে আছে। স্তম্ভের সামনে পিছনে ৬টি মাঝারি আকৃতির গম্বুজ আছে। শাহ সুলতান মাহমুদ ইবনে হুসাইনের আমলের ৮০০ হিজরীর আরবি-ফার্সিতে লেখা কয়েকটা পাথর খননের সময় এগুলো এখানে পাওয়া গেছে। মসজিদের সাথে সাদৃশ্য আছে গৌরের ধবীচক ঝনঝনিয়া মসজিদ, ঢাকা রামপালে বাবা আদমের মসজিদ, শৈলকুপার শাহী মসজিদ বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদের। ইসলামী স্থাপত্যের এক অপূর্ব নিদর্শন হিসেবে গলাকাটা মসজিদ বাংলাদেশের পুরাকীর্তিকে সমৃদ্ধ করেছে।গলাকাটা মসজিদের পাশে গলাকাটা দীঘি অবস্থিত। খান জাহান আলী (রাঃ) এর সমসাময়িক দীঘি বলে প্রবল জনশ্রুতি আছে। দীঘিটি চর্তুদিকের পাড়সহ বারো বিঘা জমির উপর অবস্থিত। দীঘির দক্ষিণ পাড়েই গলাকাটা মসজিদ। দীঘির পশ্চিম পাড়ে একটি ছোট অনুচ্চ ঢিবি আছে।

যেভাবে যেতে হবেঃ ঝিনাইদহ হতে স্থানটির দুরত্ব ২৮-৩০ কিঃ মিঃ। ঝিনাইদহ হতে বাসযোগে সড়ক পথে বারবাজার যেতে হবে। এরপর বারবাজার হতে ( পশ্চিম দিকে) ভ্যানযোগেগলাকাটা মসজিদে যেতে হবে। বারবাজার হতে গলাকাটা মসজিদের দুরত্ব কিঃ মিঃ

গোড়ার মসজিদ (গোরাই)
মসজিদটি বারোবাজার ইউনিয়নের বেলাট দৌলতপুর মৌজায় অবস্থিত। ইসলামী ঐতিহ্যের এক অনুপম নিদর্শন গোড়ার (গোরাই) মসজিদ। মসজিদের পূর্বদিকে একটি পুকুর আছে। মসজিদ থেকে পুকুরে যাওয়ার জন্য বাঁধানো ঘাট ছিল। ভাঙ্গা ইটের উপস্থিতি স্থানে স্থানে প্রোথিত ইটের চিহ্ন তা প্রমাণ করে। বারান্দাসহ এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি বর্গাকৃতি। মসজিদটি অবস্থিত মসজিদগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা ভাল অবস্থায় ছিল। ১৯৮৩ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক খননের পর দেখা গেছে, গম্বুজের কেন্দ্রস্থল ফুটের মত ভাঙ্গা। বৃত্তাকার উপুড় করা পেয়ালার মতো দেখতে গম্বুজটি অত্যন্ত মনোরম। মসজিদের পাশে একটি কবরের সন্ধান পাওয়া যায়। এটি গোরাই নামের এক দরবেশের মাজার বলে অনেকের ধারণা। তাঁর নামানুসারে মসজিদকে গোড়ার (গোরাই) মসজিদ বলা হয়। বর্তমানে মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়া হয়। মসজিদে ফুট প্রশস্ত দেয়াল আছে। পুর্বের দিকে ৩টি প্রবেশদ্বার , দু'পাশের দু'টি অপেক্ষাকৃত ছোট। উত্তর দক্ষিণের দেয়ালে টি বড় টি ছোট মোট ৪টি প্রবেশ পথ ছিল। এখন এগুলো জানালা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পশ্চিমের দেয়ালে ৩টি মেহরাব আছে। পশ্চিম দেয়ালে / ফুট লম্বা ২টি এবং উত্তর দক্ষিণের দেয়ালে ২টি মোট টি কালো পাথরের স্তম্ভ আছে। মসজিদের দেয়ালে পোড়ামাটির পত্র-পুস্পে শোভিত শিকল, ঘন্টা, ইত্যাদি আরোও অনেক নকশা আছে।

মসজিদের বাইরের দেয়াল সম্পূর্ণটাই পোড়ামাটির কারুকার্য দ্বারা চমৎকার ভাবে অলংকৃত। মসজিদটি মুসলিম স্থাপত্যের এক নয়নাভিরাম অনন্য উদাহরণ। এটি সম্ভবত হোসেন শাহ বা তার পুত্র নসরত শাহ কর্তৃক নির্মিত। মসজিদের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায় গৌড়ের সাত্তম খনিয়া দীঘি মসজিদ, দিনাজপুরের সুরা মসজিদ, দেওয়ানগড় মসজিদ, টাঙ্গাইলের আতিয়া মসজিদ সিংহদার আওলিয়া মসজিদের।

যেভাবে যেতে হবেঃ ঝিনাইদহ হতে স্থানটির দুরত্ব ২৮-৩০ কিঃ মিঃ। ঝিনাইদহ হতে বাসযোগে সড়ক পথে বারবাজার যেতে হবে। এরপর বারবাজার হতে ( পশ্চিম দিকে) ভ্যানযোগে গোড়ার মসজিদে যেতে হবে। বারবাজার হতে গোড়ার মসজিদের দুরত্ব কিঃ মিঃ

গাজী কালু চম্পাবতীর মাজার
গাজী- কালু চম্পাবতীর মাজার বারোবাজারে অবস্থিত। গাজী- কালু চম্পাবতীর পরিচয় নিয়ে আছে নানা কিংবদন্তী। জনশ্রততিতে পাওয়া যায় বিরাট নগরের শাসক দরবেশ শাহ্ সিকান্দারের পুত্র গাজী। কালু সিকান্দারের পোষ্য পুত্র কালু গাজীকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন এবং সর্বত্র তাকে অনুসরণ করতেন। গাজীর সাথে ছাপাই নগরের সামন্ত রাজা রামচন্দ্র ওরফে মুকুট রাজার মেয়ে চম্পাবতীর দেখা হয়। গাজী ভুলে গেলেন তিনি মুসলমান, চম্পাবতীও ভুলে গেলেন তিনি হিন্দু রাজার মেয়ে। তদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলো। তাদের মিলনের মাঝে দুর্ভেদ্য প্রাচীর হয়ে দাঁড়াল সামাজিক ধর্মীয় বাঁধা। রাজা তাঁর সেনাপতিদের হুকুম দিলেন গাজী কালুকে শায়েস্তা করতে। ঘোর যুদ্ধে মুকুট রায়ের সেনাপতি দক্ষিণা রায় পরাজিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে গাজীর অনুসারী হয়। গাজী- কালু চম্পাবতীর মাজারের সাথে দক্ষিণা রায়ের মাজার আছে। মুকুটরাজা ঝিনাইদহ, কোটচাঁদপুর, বারোবাজারের পূর্ব এলাকা বেনাপোল অঞ্চলের সামস্ত রাজা ছিলেন। অন্যত্র তিনি রামচন্দ্র, শ্রীরাম বলে পরিচিত। রাজার চারটি বাড়ি ছিল-ঝিনাইদহের বাড়িবাথান, বারোবাজারের ছাপাইনগর (বর্তমানে বাদুরগাছা), কোটচাঁদপুরের জয়দিয়া বাওড়ের বলরামনগর, বেনাপোলের কাগজপুর-এ।

মুকুট রাজা বা রাজা রামচন্দ্র গাজীর অনুসারী বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়ে চম্পাবতীকে নিয়ে তার প্রধান বাড়ি ঝিনাইদহের বাড়িবাথানে চলে আসেন। গাজীও তাকে অনুসরণ করেন। ঝিনাইদহে গিয়ে গাজী, রাজার সেনাপতি গয়েশ রায়ের প্রমোদ ভবন জালিবল্লা পুকুরের পাড়ে বদমতলীতে ছাউনি ফেলেন। এখানেও গাজীর মাজার দেখতে পাওয়া যায়। এরপর রাজা চলে যান জয়দিয়া বাওড়ের বাড়িতে। বাড়ির অবস্থান দেখলে মনে হয়, রাজা অত্যন্ত শৌখিন ছিলেন। জয়দিয়ার বাওড় একসময় ভৈরব নদের অংশ ছিল। বাওড়ের পূর্ব পাড়ে ছিল রাজার বাড়ি। বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার পূর্বে বলুহর বাওড় যা এক সময়ে কপোতাক্ষ নদের অংশ ছিল। দুই বাওড় তথা দুই নদীর মধ্যস্থলে অবস্থিত এই রাজবাড়ীর গুরুত্ব অপরিসীম। দক্ষিণ পাশে বাওড়ের কুল ঘেষে তমাল গাছের নিচে আজও গাজীর দরগা বিদ্যমান। হয়তো প্রেমের টানে গাজী এখানেও ছুটে এসেছিলেন সঙ্গী কালুকে নিয়ে। অবশেষে গাজী অনুসারীদের নিয়ে বহু খন্ড যুদ্ধের পর রাজা রামচন্দ্রের কাছ থেকে চম্পাবতীকে উদ্ধার করে বারোবাজার ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু গাজীর পিতা শাহ্ সিকান্দার বিষয়টা মেনে নেননি। মুকুট রাজা শাহ্ সিকান্দারের প্রতিবেশী। হিন্দু সমাজের অসন্তষ্টির কারণে তিনি গাজীকে বাড়ী উঠতে দেননি। বাধ্য হয়ে গাজী দরবেশ বেশে চম্পাবতীকে নিয়ে বাদাবনে বেরিয়ে পড়লেন। সঙ্গী হলো কালু দক্ষিণা রায়। সুন্দরবনের বাদাবন বেশী দূরে ছিল না। নাভারণ, বেনাপোল, সাতক্ষীরা, বনগাঁ বাদাবন অঞ্চল ছিল। অসীম সাহসী গাজী আস্তানা গাড়লেন বাদাবনে। গরীব কাঠুরিয়ারা তার ভক্ত হলো।

গাজীর পরিচয় সম্পর্কে আর একটি ঐতিহাসিক তথ্য প্রচলিত আছে আমরা যে ঘটনার অবতারণা করছি তা ঘটেছে পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে। হোসেন শাহের সময়কালে (১৪৯৩-১৫৩৮) মুকুট রাজার শাসন কাল ছিল খাঁনজাহান আলী পরবর্তীতে সুলতান রোকনউদ্দীনের প্রধান সেনাপতি হিসেবে আসাব বাংলার বিভিন্ন অভিযানে তিনি অংশ নেন। সিলেট ঝিনাইদহের বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁর দরগা বা মাজার আছে। গাজী-কালু চম্পাবতীর সম্পর্কে নানা ধরণের জনশ্রুতি প্রচলিত আছে।

গাজী- কালু চম্পাবতীর মাজারে হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের মানুষ মানত করে। শ্রীরাম রাজার বেড় দীঘির দক্ষিণ পাশে ৩টি পাশাপাশি কবরের অবস্থান মাঝখানে বড় কবরটি গাজীর, পশ্চিমেরটি কালুর এবং পূর্বের ছোট কবরটি চম্পাবতীর বলে পরিচিত। মাজার সন্নিহিত দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি প্রাচীন বটগাছ আছে। এই বটগাছের তলদেশে একটি শূণ্যস্থান দেখা যায়। এটিকে অনেকে কূপ কিংবা অন্য কোন কবর বলে মনে করেন। ১৯৯২ সালে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন কবর তিনটি বাঁধাই করে বেষ্টনি প্রাচীর নির্মাণ খাদেমদের থাকার জন্য সেমিপাকা টিন শেড তৈরী করেছেন। গাজী কালু চম্পাবতীর সাথে দক্ষিণা রায়ের কবরও এখানে রয়েছে।


যেভাবে যেতে হবেঃ ঝিনাইদহ হতে স্থানটির দুরত্ব ২৮-৩০ কিঃ মিঃ। ঝিনাইদহ হতে বাসযোগে সড়ক পথে বারবাজার যেতে হবে। এরপর বারবাজার হতে হতে( পূর্ব দিকে) ভ্যানযোগে গাজীকালু চম্পাবতীর মাজারে যেতে হবে। বারবাজার হতে মাজারের দুরত্ব কিঃ মিঃ