মুরগী
এক দেশে একটা মুরগী ছিলো। সে ছিলো খুবই বদ। মালিকের কথা শুনতো না। মালিক
তাকে শাস্তি দেবার জন্য খাঁচার ভিতরে ঢুকায়ে দরজা আটকায়ে দিলো। কিন্তু,
মুরগী খাঁচার পিছন দিকের একটা ফুটা দিয়ে বের হয়ে আসলো।
মালিক রেগে গিয়ে তাকে মাইর দিলো। তারপর আবার তাকে খাঁচায় ভরে দিল। সে আবার পিছন দিকের ফুটা দিয়ে বের হয়ে আসলো।
এইবার মালিক আর সহ্য করতে না পেরে মুরগীটাকে জবাই করে রেন্ধে খেয়ে ফেললো। বেয়াদব মুরগী, এবারও পিছনের ফুটা দিয়ে বের হয়ে আসলো!
কৌতুক
গৃহশিক্ষক : গতকাল যে বলেছিলাম চারটা ইংরেজি বাক্য শিখে আসতে, তা শিখেছ?
ছাত্র : নো স্যার।
গৃহশিক্ষক : কেন?
ছাত্র : নাউ আই অ্যাম বিজি স্যার।
গৃহশিক্ষক : যতই ব্যস্ত থাক তোমাকে বলতেই হবে।
ছাত্র : ডোন্ট ডিস্টার্ব মি!
গৃহশিক্ষক : কী! এত বড় সাহস!
ছাত্র : ইউ শাট আপ!
গৃহশিক্ষক : বেয়াদব ছেলে! তোমাকে। আমি আর পড়াব না!
ছাত্র : কেন স্যার? আমি তো চারটি ইংরেজি বাক্যই বলেছি !
নতুন অতিথির সাথে কিভাবে আচারণ করতে হয় সেটা শেখেনি
নতুন ব্যাটসম্যান ক্রিজে এলেন। নিজের গার্ডগুলো পরীক্ষা করে দেখলেন। একটু নড়েচড়ে শরীরটাকে চাঙ্গা করে নিলেন। চারিদিকে ফিল্ডারদের অবস্থানটাও একনজর ঘুরে দেখলেন। এরপর কয়েকবার ব্যাট হাঁকিয়ে আম্পায়ারকে জানালেন তিনি তৈরি। আম্পায়ার বোলারকে বল করতে অনুমতি দিলেন। বোলার বলও করলেন এবং সোজা মিডল স্ট্যাম্প উড়ে গেল। তখন পেছন থেকে উইকেটকিপার বললেন, 'কী লজ্জা! এত ভাব দেখানোর পর মাত্র এক বলেই স্টাম্প উড়ে গেল।' ব্যাটসম্যান তখন বললেন, 'লজ্জা তোমাদেরই পাওয়া উচিত। একজন নতুন অতিথির সাথে কিভাবে আচারণ করতে হয় সেটা তোমাদের বোলার এখনও শেখেনি।'
ডিজিটাল হৈমন্তী
বরের বাপ সবুর করিতে পারিতেন কিন্তু কন্যার বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না । তিনি দেখিলেন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়া তাঁর একমাত্র মেয়েটি সবেমাত্র বিবাহযোগ্য হইলেও তাকে আর বেশিদিন গৃহে আটকে রাখার ক্ষমতা তাঁহার আর নাই। অনতিবিলম্বে বিবাহের ব্যবস্থা না করিলে যে কোন সময় যে কোন অঘটন ঘটিয়া যাইতে পারে !!
বিয়ের আগে ও পরে
বিয়ের আগে : (বিয়েতে রাজি হওয়ার পর)ছেলে : অবশেষে তুমি রাজি হলে! সত্যি আমি আর সইতে পারছিলাম না।
মেয়ে : তুমি কি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে?
ছেলে : অবশ্যই না! এ নিয়ে কখনো ভেবো না তুমি।
মেয়ে : তুমি কি আমাকে ভালবাস।
ছেলে : অবশ্যই........ সারা জীবন............।
মেয়ে : আমাকে কখনও ধোকা দেবে?
ছেলে : নাহ! এ ধরণের কথা তোমার মাথায় আসছে কিভাবে?
মেয়ে : তুমি কি আমার চুল নিয়ে খেলা করবে?
ছেলে : অবশ্যই যতবার সুযোগ পাব।
মেয়ে : তুমি কি আমাকে আঘাত করবে?
ছেলে : তুমি কি পাগল! আমি মোটেই সে ধরনের মানুষ নই।
মেয়ে : আমি কি তোমাকে বিশ্বাস করতে পারি?
ছেলে : হ্যাঁ।
মেয়ে : প্রিয়তম।
বিয়ের পরের সংলাপ নীচ থেকে উপরের দিকে পড়ে যান।
ধাক্কা দাও! আমাকে ধাক্কা দাও!!
এখন বর্ষা কাল, অহরহই বৃষ্টি হয় টাইমটেবল ছাড়া। তখন অনেক রাত, বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। অনেকক্ষন বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তা ঘাটে প্রচুর পানি জমে আছে। এর ভিতর আমাদের পলাশ ভাই চিৎকার করে কেদে কেদে বলছে, কে আছো ভাই? একটু ধাক্কা দাও।
তনু তার স্বামীকে স্বপনকে ডেকে তুলে বললো- "আমার মনে হয় তোমার যাওয়া উচিত।"
স্বপন- কিন্তু বাইরে অনেক বৃষ্টি। রাস্তায় অনেক কাদা।

তনু- তোমার গত বছরের কাহিনী মনে নাই?
স্বপন- আছে মনে আছে। কিন্তু এই ব্যাটার গলা শুনে ত মনে হচ্ছে পুরা মাতাল।
তনু- তোমার গলা শুনে সেদিন কি অন্যরা মাতাল ভাবে নি?
গত বছর তনুর বাচ্চা হবে। রাতের বেলা হাসপাতালে নিয়ে যাবে। সেদিনও এমন বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তাঘাট ভেসে যাচ্ছিল। তাদের গাড়িটা আটকা পড়ে গিয়েছিল কাদায়। অনেকক্ষন ঠেলে ঢুলেও বব গাড়িটা গর্ত থেকে বের করতে পারছিল না। এদিকে বউয়ের বাচ্চা প্রসবের সময় হয়ে যাচ্ছে। বার বার বব ধাক্কা মারছিল। কিন্তু গাড়িটা বের করে আনতে পারছিল না। একসময় হতাশায় সে চিৎকার করে কাদা শুরু করেছিল । ধাক্কা দাও। কেউ একজন এসে ধাক্কা দাও। আশেপাশের বাসা থেকে দুইজন সহৃদয় মানুষ বের হয়ে এসেছিল। নিজেরা ভিজে, কাদায় মাখামাখি হয়ে গাড়িটা বের করে দিয়েছিল ধাক্কা মেরে। আর সেদিন রাতেই তাদের ফুটফুটে একটা মেয়ে হয়েছিল।
আজকে, বছরখানেক পর, আরেক বৃষ্টির দিনে এক মাতাল চিৎকার করে বলছে, ধাক্কা দাও। আমাকে ধাক্কা দাও।
স্বপন বের হয়ে আসল। রাস্তার পাশের লাইটগুলাও নিভে আছে কেন জানি। বেশ অন্ধকার। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। শুধু চিৎকার শোনা যাচ্ছে, ধাক্কা দাও।
স্বপন বলল, ভাই আপনি কই?
পলাশ- এদিকে আসেন।
স্বপন সামনে এগিয়ে যায়।
পলাশ- বাগানের ভিতর আসেন।
স্বপন বাগানে ঢুকে পড়ে। ভাই, আপনাকে দেখছি না তো।
পলাশ- ভাই, টবগুলার পাশে আসেন।
স্বপন টবের পাশে এসে দাঁড়ায়।
পলাশ- ভাই ,আপনার মত মানুষ হয় না। আসেন, একটু ধাক্কা দেন তো। অনেকক্ষন দোলনায় বসে আছি। এত ডাকছি। কেউ ধাক্কা দিতে আসে না।
ব্যাটা মিথ্যুক

জজ কোর্ট।
আসামীর কাঠগড়ায় আমাদের পলাশ মিয়া।
জজ সাহেব পলাশ মিয়ার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন।
জজ সাহেব - “ তুমি তোমার বউকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছো?“
পলাশ- "জ্বি হুজুর।"
দর্শকদের ভিতর থেকে মাটি ভাই চিৎকার করে বলল - "ব্যাটা মিথ্যুক।"
জজ সাহেব - “ তুমি তোমার কাজের ছেলেকেও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছো?”
পলাশ- "জ্বি হুজুর।"
দর্শকদের ভিতর থেকে মাটি ভাই আবারও চিৎকার করে বলল - "ব্যাটা মিথ্যুক।"
এইবার জজ সাহেব মাটি ভাইকে বললেন, “কেনো ওকে মিথ্যুক বলছেন আমি বুঝতে পারছি না। উনি পলাশ নিজে ওর অপরাধ স্বীকার করছে। হাইহোক, এটা কোর্টরুম। আর একবার আপনি এই রকম চিৎকার করলে আপনাকে বিচারে বাধা দেয়ার জন্য গ্রেফতার করা হবে। বুঝছেন?”
এইবার মাটি ভাই দাঁড়িয়ে বলল,- " আমি গত পনের বছর ধরে পলাম মিয়ার প্রতিবেশি। যতবারই আমি তার কাছে একটা হাতুড়ি ধারের জন্য গেছি, সে বলছে তার কাছে হাতুড়ি নাই!!!“
আমার চাবিটা একটু খুঁজে দাও
পলাশ মিয়ার বাড়ির সামনেই রাস্তার পাশে অল্প একটু যায়গায় ময়লা কাঁদামাটি আর নোংড়া পানিতে একাকার হয়ে আছে। তো সেদিন পলাশ মিয়ার ঘরের চাবিটি সেই কাঁদামাটির পানিতে পরে গলো। বাধ্য হয়ে পলাশ মিয়া সেই নোংড়া পানিতে নেমে অনেকক্ষণ সেই চাবিটি খুঁজেও না পেয়ে চিৎকার করে বলতে লাগলো - "হে ভগবান", "হে বুদ্ধ", "হে যীশু", "হে গুরু নানক" আমার চাবিটি একটু খুঁজে দাও, নয়তো ঘরে ঢুকতে পারবো না।

পলাশ মিয়ার চিৎকার শুনে পাশের দোকানদার বললো- কিরে পলাশ, তুই হিন্দুদের ভগবান, বৌদ্ধদের বুদ্ধ, খ্রীষ্টানদের যীশু, শিখদের গুরু নানক, সবাইকে ডাকলি। কিন্তু তোর নিজের ধর্মের "আল্লাহ-কে" ডাকলি না কেনো?
পলাশ মিয়া মুচকি হেসে বললো - আল্লাহকে দিয়ে কাঁদা ঘাটাতে চাই না।