*** • দেশের পথে খালেদা • গাদ্দাফি ও তার ছেলেদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের পরোয়ানা • আবারো ইউরোপ সেরা বার্সেলোনা • মরনোত্তর চক্ষু দানের ঘোষণা দিলেন মনমোহন সিং দম্পতি • ফিলিস্তিন জাতিসংঘে স্থায়ী সদস্যপদ চাইলে ভেটো দেবে যুক্তরাষ্ট্র • আসছে দেশে তৈরী ১০ হাজার টাকার ল্যাপটপ (দোয়েল) • অর্থের কাছে ক্রিকেটকে বলি দেবেন না: কপিল • কী ধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান জানান: সুরঞ্জিত • ঝিনাইদহে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যায় তদন্ত কমিটি • কম্পিউটার বাজার দরঃ- কম্পিউটার বাজারে দাম কমেছে বেশকিছু পণ্যের। মনিটর ও পেনড্রাইভের বিক্রি বেড়েছে বলে বিক্রেতারা জানান। গতকাল শনিবার পাওয়া যন্ত্রাংশের দাম নিচে দেওয়া হলো— প্রসেসর: ইন্টেল কোর আই৫ (৩.২০ গি.হা) ১৫,৩০০, ইন্টেল সেলেরন ১.৮ গি.হা ৩,০০০; ইন্টেল কোর আই-৩ ৩.০৬ গি.হা. ৯,৮০০ টাকা। পেন্টিয়াম ডুয়েল কোর২.৮ গি.হা. ৫,৩০০; কোর টু কোয়াড-৩.৩৩গি.হা. ১২,৫০০ টাকা। মাদারবোর্ড: গিগাবাইট জি এ৪১ এমটি-ডি-৩ ৪,১০০; জি৪১এমটি-ইএস২ এল ৪,৩০০; জি ৪১এম কমবো ৪,২০০; এইচ৫৫এম-ডিটুএইচ ৬,৫০০ টাকা। ইন্টেল ডিএইচ৫৫পিজে ৬,৮০০, ডিজি৩৩টিএলএম ৭,১০০ টাকা। আসুস পি৫জি-৪১টি-এম৪১০০ ৪,৩০০; জি৪১ ৪,৬০০ টাকা। ফক্সকন জি৩১ এমভি ৩,০০০; এইচ৪১ এমএক্সইভি ৩,৩০০; এইচ৫৫ এক্সভি ৫,২০০ টাকা। র্যাম: ২ গি.বা. ডিডিআর-২ ১,৯০০, ২ গি.বা. ডিডিআর-৩ ১,২০০ টাকা। হার্ডডিস্ক ড্রাইভ: ৩২০ গি.বা. ৩,০০০; ৫০০ গি.বা. ৩,৪০০ টাকা। হিটাচি ১ টেরাবাইট ৪,৬০০; ২৫০ গি.বা. ২,৫০০; ৫০০ গি.বা. ৩,৫০০;। পেনড্রাইভ: অ্যাপাসার ৪ গি.বা. ৬৫০, ৮ গি.বা. ১০০০ থেকে ১,৬০০। এলসিডি মনিটর: স্যামসাং ১র্৭র্ ৮,২০০; ১৮.র্৫র্ ৮,১০০; ২র্০র্ ১০,৫০০; ২১.র্৫র্ ১৩,৮০০; ২৩.র্৫র্ ২৫,৫০০ টাকা। ফিলিপস ১৮.র্৫র্ ৮,০০০টাকা।ডেল ১৮.র্৫র্ ৭,৯০০ টাকা।এলজি ১৮.৫র্ র্ ৭,৯০০; ১৭র্ র্ ৭,৪০০; ২১.৫র্ র্ ১৩,৫০০ টাকা। হাইউন্দাই এলসিডি; ১র্৯র্ ৮,৮০০; ২র্৭র্ ২৯,৩০০ টাকা। গ্রাফিকস কার্ড: গিগাবাইট এইচ ডি-৫৫৭০ ১গি.বা. ৫,৫০০, এক্সএফএক্স এইচ ডি-৫৬৭০ ১গি.বা.৬,২০০ টাকা। আসুস: ২৫৬ মেগাবাইট ৪,০০০, এক্সএফএক্স এইচডি৪৫৫০ ১ গি.বা. ৪,৭০০, এইচডি৫৮৫০ ৭২৫ গি.বা. ১০,১০০ টাকা। ডিভিডি রাইটার/রি-রাইটার: স্যামসাং ৫২x২৪x৫২এক্স ১,৫০০ টাকা।আাাসুস ৫২x৩২x৫২এক্স ১,৮০০ টাকা।সনি ডিভিডি-আরডব্লিউ ১,৭০০ টাকা। কেসিং: ১,৪০০ থেকে ৩,৬০০ টাকা। মাউস: ২৫০ থেকে ৩০০০ টাকা। কি-বোর্ড: সাধারণ ৩৫০ থেকে ১,৫০০ টাকা। মাল্টিমিডিয়া ৫৫০ টাকা। স্পিকার: মাইক্রোল্যাব (২:১) ১,৩০০ থেকে ৩,৬০০ টাকা।ক্রিয়েটিভ এসবিএস ৮০০ টাকা। গোল্ডেন ব্রিজ এফটি৮০৫ (২:১) ১,৩০০ টাকা। মডেম: মোবিডেটা ইডিজিই ২,৪০০; এইচএসডিপিএ ৩,০০০ টাকা। জিপিআরএস: টেকনো টিএম০০৮ ২,১০০ টাকা। মোবিডাটা ২,১০০ টাকা (ইউএসবি)। টিভি কার্ড: এভারমিডিয়া ইন্টারনাল ২,৬০০; এক্সটারনাল ডাব্লিউ৭ ৪,৪০০ টাকা।রিয়েলভিউ আরভি ১,৭০০ টাকা।প্রিন্টার: ক্যানন পিক্সমা আইপি-২৭৭২ ২,৮৫০ টাকা। এইচপি১৬৬৬ ডেস্কজেট ৫,৫০০ টাকা। এপসন টি৬০ ১২,০০০ টাকা। এইচপি লেজার পি-১১০২ ৮,৪০০ টাকা। ব্রাদার এইচএল ৫৩৪০ডি ১৮,৭০০ টাকা। স্যামসাং এমএল ১৬৬৩ (লেজার) ৫,৬০০। ডেল ৮,৯০০ থেকে ২১,০০০ টাকা। পোর্টেবল হার্ডডিস্ক: ট্রানসেন্ড ৫০০ গি.বা ৫,০০০; ৩২০ গি.বা ৪,১০০; ৬৪০ গি.বা ৬,৩০০, ২ টেরাবাইট ১২,২০০ টাকা। এডেটা ৫০০ গি.বা. ৪,৫০০। ইউপিএস: কেষ্টার ৬৫০ ভিএ ২,৬০০; ১২০০ ভিএ ৪,৪০০ টাকা , ৩কেভিএ ৩৬,০০০ টাকা, ১০ কেভিএ ১,০৫,০০০টাকা। —সংগ্রহ:;;;;; *****

ঝিনাইদহ জেলা পরিচিতিঃ

নামকরনঃ
প্রাচীনকালে বর্তমান ঝিনাইদহের উত্তর পশ্চিম দিকে নবগঙ্গাঁ নদীর ধারে ঝিনুক কুড়ানো শ্রমিকের বসতি গড়ে ওঠে বলে জনশ্রুতি আছে। সে সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গেঁর কোলকাতা থেকে ব্যবসায়ীরা ঝিনুকের মুক্তা সংগ্রহের জন্যে এখানে ঝিনুক কিনতে আসতো। সে সময় ঝিনুক প্রাপ্তির এই স্থানটিকে ঝিনুকদহ বলা হতো। সে সময় ঝিনুক থেকে মুক্তা সংগ্রহের মাধ্যমে এবং ঝিনুক পুড়িয়ে চুন তৈরী করে তা বিক্রি করে মানুষ অর্থ উপার্জন করতো।


অনেকের মতে ঝিনুককে আঞ্চলিক ভাষায় ঝিনেই, ঝিনাই এবং দহ অর্থ বড় জলাশয় ও ফার্সি ভাষায় দহ বলতে গ্রামকে বুঝানো হতো। সেই অর্থে ঝিনুকদহ বলতে ঝিনুকের জলাশয় অথবা ঝিনুকের গ্রাম বুঝাতো। আর এই ঝিনুক এবং দহ থেকেই ঝিনুকদহ বা ঝিনেইদহ, যা- রূপান্তরিত হয়ে আজকের ঝিনাইদহ নামকরন হয়েছে।


অন্য কিংবদন্তি থেকে জানাযায়, এক ইংরেজ সাহেব এই এলাকা দিয়ে নৌকাযোগে নবগঙ্গাঁ নদী পর হচ্ছিলেন। অনেক লোকজন তখন নদী থেকে ঝিনুক সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত ছিল। উপস্থিত লোকদের কাছে সাহেব তখন এলাকাটির নাম জানতে চান। লোকেরা তার কথা বুঝতে না পেরে ভেবে নেন যে নদী থেকে তারা কি জিনিস তুলছে তার নাম জানতে চাচ্ছেন। এই মনে করে লোকেরা সাহেবকে বলেন ঝিনুক বা ঝিনেই। এতে ইংরেজ সাহেব ধরে নেন জায়গাটির নাম ঝেনি। এই ঝেনি শব্দটি পরে ঝেনিদা হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। ঝিনাইদহকে আঞ্চলিক ভাষায় এখনও ঝিনেদা বলা হয়। ঝেনিদা, ঝিনেদা আর ঝিনাইদহ যাই বলা হোক না কেন ঝিনাইদহ নামের উৎপত্তি যে ঝিনুক থেকে তা এ অঞ্চলের মানুষের কাছে অধিকতর গ্রহণযোগ্য।


ঐতিহ্যবাহী ঝিনাইদহ গ্রন্থে ঝিনাইদহ সম্পর্কে বলা হয়েছে ‘‘বারো আউলিয়ার আর্শীবাদপুষ্টঃ গাজী-কালূ-চম্পাবতীর উপখ্যানধন্য; কে.পি. বসু, গোলাম মোস্তফার স্মৃতি বিজড়িত; বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান, বিপ্লবী বীর বাঘাযতীনের শৌর্যময়; খেজুর গুড়, কলা-পানের প্রাচুর্যমন্ডিত; পাগলাকানাই, লালন শাহের জম্মস্থান, কপোতাক্ষ, বেগবতী, চিত্রা, নবগঙ্গাঁর ঝিনুকদহ এক কথায় নাম তার ঝিনাইদহ।’’




ঝিনাইদহের নামকরনের ন্যায় এর অপর ৫টি উপজেলারও রয়েছে নাম করনের বৈচিত্রময় ইতিহাস।




শৈলকুপাঃ
শৈলকুপার কুমার নদীতে একসময় নাকি প্রচুর পরিমানে শৈলমাছ পাওয়া যেত এবং তা সাধারণ কুপিয়ে মারা হতো। এজন্যেই এর নাম হয় শৈলকুপা। আবার অন্যদের মতে এখানে শৈলগুল্প বেশী থাকার কারনে এ অঞ্চলকেব শৈলকুপা নামে অভিহিত করা হয়। শৈলকুপা বহু পূর্বে ফরিদপুর জেলার মধ্যে ছিল।


মহেশপুরঃ
ভৈরবের তীরে অবস্থিত মহেশপুর উপজেলার আদিনাম যোগীদহ। পরবর্তীতে ১১০৭ সালে হিন্দু দেবতা মহেশপুর ঠাকুরের মন্দির প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় আদিনাম পরিবর্তিত হয়ে মহেশপুর হয়। কেউ কেউ বলেন রাজা মহেশ চন্দ্রের নামানুষারে এলাকার নাম মহেশপুর হয়। অন্য জনশ্রুতি হল ঐ অঞ্চলের রাজত্ব এক জেলে রাজার হস্তগত হলে তার ছেলে ‘‘মহেশ’’ এর নামানুষারে মহেশপুর নামকরন হয়। মহেশপুর ভারতের বনগাঁও মহাকুমার একটি অন্যতম অংশ ছিল। ১৯৪৭ সালে মহেশপুর ঝিনাইদহ মহাকুমার অন্তর্গত হয়। মহেশপুরকে খাদ্যভান্ডার বা রত্নভান্ডার বলা হয়।


কালীগঞ্জঃ
কালীগঞ্জ উপজেলার নামকরনের পিছনে জনশ্রুতি আছে তা হলো এই বাজারে বিখ্যাত কালিমন্দিরকে অবলম্বন করেই কালীগঞ্জ নাম করন হয়।


কোটচাঁদপুরঃ
জনশ্রুতি আছে, জঙ্গলে ঘেরা এ অঞ্চলে চাঁদফকির নামের এক দরবেশ আস্তানা গড়েন। তার নামে এর নাম হয় চাঁদপুর। মোঘল আমলে ১৬১০ সালে একটি কোর্ট নির্মিত হয়। আর চাঁদপুর নামের আগে কোট শব্দটি বসিয়ে এর নাম হয় কোটচাঁদপুর। বৃটিশ আমলে এখানে কোর্ট ছিল এবং ১৮৬২ সাল পর্যন্ত এটি মহাকুমা বাণিজ্য নগরী হিসেবে খ্যাত ছিল।


হরিণাকুন্ডুঃ
লোকমুখে প্রচার আছে ‘‘অভয়কুন্ড নামে এক ইংরেজ কর্মচারীর অত্যাচারী পুত্র হরিচরন কুন্ডুর নামানুষারে এ অঞ্চলের নাম হয় হরিণাকুন্ডু ।